Logo

আন্তর্জাতিক    >>   মোদির সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বৈঠক , সংসদে ব্রিফ করবেন জয়শঙ্কর

মোদির সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর  বৈঠক , সংসদে ব্রিফ করবেন জয়শঙ্কর

মোদির সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বৈঠক , সংসদে ব্রিফ করবেন জয়শঙ্কর

বাংলাদেশ সরকারের পতনের পর ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের মধ্যে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার নিয়ে দুই দেশের মধ্যে টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে। গত ২৫ নভেম্বর, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইসকনের সাবেক সংগঠক চিন্ময় কৃষ্ণ দাশকে গ্রেফতার করে পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তাকে রাষ্ট্রদ্রোহসহ একাধিক মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতার এবং জামিন না মঞ্জুরের পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উদ্বেগ প্রকাশ করে। ২৬ নভেম্বর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর একাধিক উগ্রবাদী হামলার পর চিন্ময় কৃষ্ণ দাশের গ্রেফতার ও জামিন না দেওয়ার ঘটনায় আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।” ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও উল্লেখ করে, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনাও ঘটেছে। এসব ঘটনায় চিন্ময়ের গ্রেফতার নতুন মাত্রা যোগ করেছে।”

এরপর, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতের এই বিবৃতির কড়া প্রতিবাদ জানায়। ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, “ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়ার চেতনার পরিপন্থি।” তারা আরও উল্লেখ করে, “চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে নির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং কিছু মহল ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।”

এই পরিস্থিতির মধ্যে, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন। ২৮ নভেম্বর, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাংলাদেশ ইস্যুতে জয়শঙ্কর সংসদে বিবৃতি দিতে পারেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, “ভারতীয় বিরোধী দলগুলোও এই ইস্যুতে কোনো আপত্তি তুলবে না বলে মনে করা হচ্ছে।”

বাংলাদেশের সনাতন জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতার নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ার পর, ভারতীয় সরকার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও ভারতের বিবৃতির বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। একে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন এখন নতুন মাত্রা লাভ করেছে।